সাম্প্রতিক কালে প্রধানমন্ত্রীর Lakshadweep ভ্রমণের পর ভারতবর্ষের জন সাধারণের মধ্যে লাক্ষাদ্বীপ নিয়ে এক উন্মাদনা তৈরী হয়েছে তার সাথে মালদ্বীপের indiaout campain আর কিছু রাজনৈতিক নেতার তির্যক মন্তব্য আগুনে ঘি ঢালার মত প্রক্রিয়া হয়েছে, ফলস্বরূপ গত 4দিনে মালদ্বীপে 8000 হোটেল বুকিং ক্যানসেল ও 2000 ফ্লাইটের টিকিট ক্যানসেল হয়েছে আর শুরু হয়েছে #BoycottMaldives এর মত ক্যাম্পেইন, প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে সবকিছুই সুন্দর, তবে Lakshadweep নিয়ে অনেকেরই ধারণা নেই তাই আজকের এই পোস্ট Lakshadweep নিয়েই
লাক্ষাদ্বীপ (মালয়ালম: লাক্ষাদুইপ্ অর্থাৎ “লক্ষ দ্বীপ”) বা লক্ষদ্বীপ ভারতের একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এটি ৩৬টি দ্বীপের একটি দ্বীপপুঞ্জ যা পশ্চিমে আরব সাগর এবং পূর্বে ল্যাকাডিভ সাগরের মধ্যে সামুদ্রিক সীমানা হিসেবে কাজ করে। এটি ভারতের মালাবার উপকূল থেকে ২০০ থেকে ৪৪০ কিমি (১৩০ থেকে ২৭০ মাইল) দূরে অবস্থিত । ভৌগোলিক মতবাদ অনুসারে, অসংখ্য মৃত প্রবাল কীটের দেহাবশেষ সঞ্চিত হয়ে সমুদ্র মধ্যে এই দ্বীপসমূহের সৃষ্টি হয় । তাই এই দ্বীপপুঞ্জকে ‘প্রবাল দ্বীপ’ও বলা হয়ে থাকে ।
যদিও এই অঞ্চলটি Lakshadweep নামে পরিচিত, আসলে এটি কেবল ভৌগোলিকভাবে দ্বীপপুঞ্জের কেন্দ্রীয় দ্বীপসমূহর নাম। লক্ষদ্বীপের অর্থ সংস্কৃত এবং মালয়ালম ভাষায় “এক লাখ দ্বীপ”। ৩২ বর্গ কিলোমিটার (১২ বর্গ মাইল) আয়তনের লক্ষদ্বীপ হল ভারতের সবচেয়ে ছোট কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল। লক্ষদ্বীপের রাজধানী হল কাভারাত্তি । সমগ্র অঞ্চলটি একটি জেলা ও ১০টা মহকুমায় বিভক্ত পরিচালিত এবং এটি কেরালা উচ্চ ন্যায়ালয়ের ক্ষেত্রাধিকার অম্তর্গত।
লক্ষদ্বীপের সমগ্র অঞ্চলটিকে নিয়ে একটি জেলা গঠন করা হয়েছে। জেলাটি ভারতের সংবিধানর ২৩৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে ভারতের রাষ্ট্রপতির দ্বারা নিযুক্ত প্রশাসক দ্বারা পরিচালিত হয়। জেলাটিকে দশটা মহকুমায় ভাগ করা হয়েছে। মিনিকয় ও আগাটি মহকুমা এক উপায়ুক্তর অধীনে এবং বাকী আটটা দ্বীপের উন্নয়নমূলক কাজ মহকুমাধিপতির হাতে অর্পণ করা হয়েছে। উপায়ুক্ত তথা ডেভেলপমেন্ট কমিশনার দ্বীপপুঞ্জটির জেলা প্রশাসনের কাজকর্ম, রাজস্ব, ভূমি বন্দোবস্ত, আইন-শৃঙ্খলা ইত্যাদি কাজের তদারকি করেন। জেলাটির সদর কাবারট্টীতে অবস্থিত। দ্বীপপুঞ্জটি কেরালা উচ্চ ন্যায়ালয়ের ক্ষেত্রাধিকার অন্তর্গত। লক্ষদ্বীপে ভারতীয় সংসদের নিম্ন সদন লোকসভার একটি আসন আছে।