উরফি জাভেদ হাসপাতালে ভর্তি,অক্সিজেন-মাস্ক পরা ফটো- শেয়ার

ফ্যাশন সেন্সের জন্য সবসময় শিরোনামে থাকা উরফি জাভেদ আজকাল অসুস্থ। তার সর্বশেষ ছবি হাসপাতালে শুয়ে আছে, যেখানে তার নাকে একটি অক্সিজেন মাস্কও লাগানো হয়েছে। যা দেখে অবাক ভক্তরা। বিছানায় শুয়ে সবসময় ফ্যাশনের ছোঁয়া যোগ করা উরফি কেমন আছেন?


সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি উঠে এসেছে, যা ভাইরাল হচ্ছে। যেটিতে উরফি জাভেদকে হাসপাতালের বিছানায় দেখা যায়, যেখানে তাকে তার মুখে অক্সিজেন মাস্ক দিয়ে পোজ দিতে দেখা যায়। তিনি অন্য কোনো পোশাক নয়, হাসপাতালের গাউন পরেছেন।

তিনি নিজেই নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এই ছবি শেয়ার করেছেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই এই ছবিও মুছে দিয়েছেন উরফি। এই ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য আসছে। কিছু ভক্ত উরফি জাভেদ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নিয়ে চিন্তিত, আবার কেউ তাকে ট্রোল করছেন। লোকজন তাকে কটূক্তি করতেও দেখা যায়। কেউ কেউ এমনও লিখেছেন যে জামাকাপড় না পরলে অবশ্যই ঠান্ডা লেগে যাবে এবং হাসপাতালে যেতে হবে।

আদানি-হিন্ডেনবার্গ তদন্তে সেবিতেই আস্থা রাখল সুপ্রিম কোর্ট

আদানি সংস্থা নিয়ে সেবির তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। আজ এই সংক্রান্ত মামলার রায়ে এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। আন্তর্জাতিক অপরাধ ও দুর্নীতি সংক্রান্ত স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থা ওসিসিসিআরপির রিপোর্ট গত বছর আদানি ও হিন্ডেনবার্গ বিতর্কে নতুন মাত্রা জুড়েছিল। সেই সময় সেবির তদন্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। আজ দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, কেবল মাত্র ওসিসিআরপির রিপোর্টর ভিত্তিতে সেবির তদন্তে প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। তাই আলাদা করে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের প্রয়োজনীয়তা নেই। মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরোস পরিচালিত ওসিসিসিআরপির রিপোর্ট নিয়ে আদানিদের পাশাপাশি বিজেপির তরফেও লাগাতার আক্রমণ করা হয়েছিল। যেখানে বিরোধীরা সেবির তদন্তের প্রতি আস্থা রাখতে পারছিল না। আজ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সেবির তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে কার্যত আর কোনও বাধা রইল না। আদানি নিয়ে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই তা শুরু থেকে খণ্ডন করে আসছিল ভারতীয় সংস্থাটি। অন্যদিকে, বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শিল্পপতি গৌতম আদানির ঘনিষ্ঠতা নিয়েও বারবার দেশের রাজনৈতিক পরিসর ও সংসদে বিতর্ক তৈরি হয়। এদিকে আজকের রায়ের পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় গৌতম আদানি বলেছেন, ‘‘সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সত্যমেব জয়তে। যারা আমাদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। ভারতের উন্নতির গল্পে আমাদের অবদান বজায় থাকবে।’

কেন্দ্রের আশ্বাসে উঠে গেল দেশ জুড়ে ট্রাকচালকদের বিক্ষোভ, বৈঠকে হবে নয়া আইন নিয়ে সিদ্ধান্ত

কেন্দ্রের আশ্বাসে উঠে গেল ট্রাকচালক ও বিভিন্ন পরিবহণ সংস্থাগুলির বিক্ষোভ-প্রতিবাদ কর্মসূচি। নতুন ন্যায়সংহিতায় গাড়ি চাপা দেওয়ার (হিট অ্যান্ড রান) শাস্তি নিয়ে যে সংস্থান রয়েছে তা কার্যকর হওয়ার আগে বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাসে দেশ জুড়ে ট্রাকচালকরা তাঁদের বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রসচিবের আশ্বাস পেয়ে তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা মঙ্গলবার অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসেন। সেখানে তিনি ট্রাকচালকদের জানান, তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গী আইন কার্যকর করার আগে বিবেচনা করা হবে। অজয় বলেন, ‘‘নতুন আইন এখনও কার্যকর হয়নি। ভারতীয় ন্যায়সংহিতার ১০৬/২ ধারা কার্যকর করার আগে অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

হিট অ্যান্ড রান’-এর ঘটনায় নতুন আইনের বিরুদ্ধে ভারত জুড়ে বেশ কয়েকটি পরিবহণ সমিতি প্রতিবাদ করছে। ভারতীয় দণ্ডবিধিকে সরিয়ে আনা ন্যায়সংহিতার একটি আইনে বলা হয়েছে চালকের ভুলে গাড়ি দুর্ঘটনা হলে এবং সেটা পুলিশ বা প্রশাসনের কোনও আধিকারিককে না জানিয়ে যদি তিনি পালিয়ে যান, সে ক্ষেত্রে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড কিংবা ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। আগে আইপিসি বা ভারতীয় দণ্ডবিধিতে এই ধরনের মামলায় শাস্তির মেয়াদ ছিল দু’বছর। বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলির দাবি, এই আইনের ফলে চালকেরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন এবং তাঁদের উপর অন্যায় ভাবে শাস্তির কোপ পড়তে পারে। তাদের আরও যুক্তি, দুর্ঘটনার পর কোনও গাড়িচালক আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে তাঁরা গণপিটুনির শিকার হতে পারেন। বস্তুত, কেন্দ্রীয় পরিবহণ নীতির বিরোধিতায় দেশের যত্রতত্র ট্রাক এবং লরিচালকদের বিক্ষোভ-আন্দোলন চলছে। তাতে বাদ নেই বাংলাও। প্রত্যেক দিনই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাক চালকদের বিক্ষোভের খবর মিলছে।

বিক্ষোভ প্রশমনে কেন্দ্রের উদ্যোগ প্রসঙ্গে অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেসের সভাপতি অমিত মদন বলেন, ‘‘আপনারা শুধু চালক নন, আপনারা আমাদের সৈনিক। আমরা চাই না যে আপনারা কোনও রকম সমস্যার মুখোমুখি হন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানার বিষয়টি এখনও মুলতুবি রেখেছেন। অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেসের সঙ্গে পরবর্তী বৈঠক না হওয়া পর্যন্ত ওই আইন কার্যকর করা হবে না।’’

Exit mobile version