RAJYA SABHA ELECTION-2024: রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে বাংলা থেকে শমীক ভট্টাচার্য র নাম প্রস্তাব বিজেপি শিবির র

তৃণমূলের পর  RAJYA SABHA ELECTION ত্র  প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বিজেপিও (BJP)।

তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে রবিবার সকালেই চারজন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। এরপরেই সন্ধ্যায় বিজেপির তরফেও RAJYA SABHA র প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। বাংলা থেকে সংসদের উচ্চকক্ষের ভোটে দাঁড়াচ্ছেন দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। রবিবার দিল্লি থেকে ঘোষণা করা হয়েছে বিজেপির প্রার্থীতালিকা। বিহার, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গের তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলা থেকে বিজেপি প্রার্থী হচ্ছেন শমীক ভট্টাচার্য।  বিধানসভার বিধায়ক সংখ্যা অনুয়ায়ী একটি আসনে প্রার্থী জয় নিশ্চিত বিজেপির।

রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে বাংলা থেকে শমীক ভট্টাচার্য

রবিবার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফত সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি RAJYA SABHA ELECTION ত্র রাজ্যের পাঁচটি আসনে ভোট। বিধায়কদের সংখ্যাতত্ত্বের ভিত্তিতে তৃণমূল চারটি ও বিজেপির একটি আসন পাওয়ার কথা। এদিন দুপুরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে চার প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। তার পরেই জল্পনা চলছিল, বিজেপির প্রার্থী কে হয়, সেদিকে নজর ছিল।

রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে বাংলা থেকে শমীক ভট্টাচার্য র নাম প্রস্তাব বিজেপি শিবির এর

প্রসঙ্গত, দীর্ঘসময় ধরে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্রের দায়িত্ব সামলে আসছেন শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। রাজনৈতিক মহলে, সুবক্তা হিসেবে পরিচিত তিনি। দলের অবস্থান সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমের সামনে সুস্পষ্ট যুক্তিতে দলের প্রতিনিধিত্ব করতে দক্ষ এই রাজনীতিবিদ। দীর্ঘদিন ধরেই দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। সেই আনুগত্যের পুরস্কার পেলেন তিনি। আগামী দিনে রাজ্যসভায় বিজেপির ভাবধারা ও আদর্শ এবং সর্বোপরি জনসাধারণের নানা সমস্যা সম্পর্কে সংসদের উচ্চকক্ষে বক্তব্য পেশ করবেন তিনি।

RAJYA SABHA ELECTION -2024

গতবার উত্তরবঙ্গ থেকে অনন্ত মহারাজকে (Anant Maharaj) রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল বিজেপি, তাই এবার দক্ষিণবঙ্গ থেকে কোনও চেনা মুখকে পাঠাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। বঙ্গ বিজেপির কাছ থেকে নাম চায় কেন্দ্রীয় কমিটি।রাজ্য বিজেপির তরফে নাম বাছাইয়ের জন্য কয়েকদিন আগেই চারটি নাম পাঠিয়েছেন শুভেন্দু -সুকান্তরা। তার মধ্যে থেকেই শমীক ভট্টাচার্যের নাম বেছে নিল কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব।  উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দমদম (Dumdum) কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন শমীক। কিন্তু তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের কাছে পরাজিত হন।

প্রয়াত উস্তাদ রাশিদ খান, সঙ্গীত গুরু Rashid Khan ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে মারা গেলেন 56 বছর বয়সে

ভারতীয় সঙ্গীতজগতে নক্ষত্রপতন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী উস্তাদ রাশিদ খান প্রয়াত। বয়স হয়েছিল 56 বছর। তিনি গত 22 নভেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন গত কয়েক বছর ধরে শিল্পী প্রস্টেট ক্যানসারে ভুগছিলেন। চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিলেন। এর মধ্যে সম্প্রতি তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক) হয়। সেখান থেকেই অবস্থার অবনতি শুরু। শিল্পীকে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই মঙ্গলবার বিকেল 3টে 45 মিনিটে প্রয়াত হলেন তিনি। রেখে গেলেন স্ত্রী, এক পুত্র এবং দুই কন্যাকে

বুধবার দুপুর ১টায় রবীন্দ্রসদনে গান স্যালুটে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে শিল্পীকে।

জন্ম উত্তরপ্রদেশে। দাদু নিসার হুসেনের কাছে গান শেখা শুরু। 11-12 বছর বয়সে কলকাতায় চলে আসেন Rashid Khan । সঙ্গীত রিসার্চ অ্যাকাডেমির স্কলারশিপ পান। রয়ে গিয়েছিলেন কলকাতাতেই।

মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী Mamata Banerjee। ভিতরে গিয়ে শিল্পীর খোঁজ নিয়ে তিনি বেরিয়ে আসেন হাসপাতালের বাইরে। সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী তথা সঙ্গীতশিল্পী ইন্দ্রনীল সেন। হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘চিকিৎসকদের যদি কিছু বলার থাকে বলুন, তার পর আমি বলব।’’

এর পরেই রাশিদের চিকিৎসক বলেন, ‘‘মাথায় ব্লিডিং (রক্তক্ষরণ) নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। এত দিন হাসপাতালে থাকার ফলে সংক্রমণ হয়েছিল। ওঁকে ভেন্টিলেশনে পাঠাতে হয়। ওঁকে ফিরিয়ে আনতে পারিনি। মঙ্গলবার বিকেল 3টে 45 মিনিটে তিনি মারা যান।’’ চিকিৎসকেরা রাশিদের মৃত্যুসংবাদ জানানোর পর মমতা বলেন, ‘‘রাশিদ আমার ভাইয়ের মতো। গঙ্গাসাগর থেকে জয়নগরে যাওয়ার পর ফোন এসেছিল। নবান্নে ফিরে খবর আসে, কিছু একটা হয়েছে। ছুটে আসি।’’ তিনি রাশিদের প্রসঙ্গে জানান, তিনি বিশ্ববিখ্যাত। ওঁর পরিচয় দিতে হবে না। বাংলাকে ভালবেসে বাংলায় থেকে গিয়েছেন। বিশ্বের সব প্রান্তে গিয়ে সঙ্গীতের প্রচার করেছেন। সেই রাশিদের গান শুনতে পারবেন না বলে ‘কষ্ট হচ্ছে’, জানিয়েছেন Mamata Banerjee।

সেই রাশিদের গান শুনতে পারবেন না বলে ‘কষ্ট হচ্ছে’, জানিয়েছেন Mamata Banerjee

মঙ্গলবার সন্ধ্যা 6টা পর্যন্ত হাসপাতালেই রাখা থাকবে মরদেহ। সেখান থেকে বেরিয়ে রাশিদের দেহ নিয়ে যাওয়া হবে পিসওয়ার্ল্ডে। রাতে দেহ থাকবে সেখানে। বুধবার সকাল সাড়ে 9টায় রবীন্দ্র সদনে নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন তাঁর অগণিত ভক্ত। দুপুর 1টায় কলকাতা পুলিশের তরফে গান স্যালুট দেওয়া হবে। তার পর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে শিল্পীর দেহ। সেখানে নিয়ম-আচার পালনের পর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে টালিগঞ্জ কবরস্থানে। সেখানেই হবে শেষকৃত্য।

1968 সালের 1st জুলাই উত্তরপ্রদেশের বদায়ূঁতে জন্ম রাশিদের। তিনি রামপুর-সাসওয়ান ঘরানার শিল্পী। যে ঘরানার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইনায়েত হুসেন খাঁ-সাহিব। রাশিদ তালিম নিয়েছেন এই ঘরানারই আর এক দিকপাল উস্তাদ নিসার হুসেন খাঁ-সাহিবের কাছ থেকে। যিনি ছিলেন রাশিদের দাদু। রাশিদের মামা গোয়ালিয়র ঘরানার উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খাঁ-সাহিবের থেকেও তালিম নিয়েছেন রাশিদ। মূলত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গাইলেও ফিউশন বা বলিউড এবং টলিউডের ছবিতে বহু জনপ্রিয় গান গেয়েছেন শিল্পী। এগারো বছর বয়সে রশিদ তাঁর প্রথম সঙ্গীতানুষ্ঠান করেন। মূলত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গাইলেও ফিউশন বা বলিউড এবং টলিউডের ছবিতে বহু জনপ্রিয় গানও গেয়েছেন শিল্পী। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভিত হলেও বলিউড ও টলিউডের একাধিক সিনেমায় গান গেয়েছেন উস্তাদ রশিদ খান। তার মধ্যে ‘জব উই মেট’ সিনেমায় ‘আওগে যব তুম সজনা’ গানটি সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। শাহরুখ খানের ‘মাই নেম ইজ খান’ সিনেমায় ‘আল্লা হ্যায় রহেম’ গানটি গেয়েছেন শিল্পী। ‘মান্টো’র ‘বোল কে লব আজাদ হ্যায়’ থেকে ‘মিতিন মাসি’র ‘বরসাত সাওয়ান’— প্রত্যেক গানে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন শিল্পী। 

11-12 বছর বয়সে কলকাতা চলে আসেন Rashid Khan । সঙ্গীত রিসার্চ অ্যাকাডেমির স্কলারশিপ নিয়ে দাদু নিসার হুসেনের কাছে গান শেখা শুরু। তার পর থেকে গিয়েছেন কলকাতাতেই। সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার, 2022  সালে পদ্মভূষণ সম্মান যেমন পেয়েছেন, তেমন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে পেয়েছিলেন বঙ্গবিভৃষণ সম্মাণও। রশিদ খানের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সঙ্গীত মহল।

Delhi High Court সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (CBI ) এবং ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (DRI ) কে Adani Power এর বিরুদ্ধে overbilling অভিযোগ তদন্ত করার নির্দেশনা স্থগিত করেছে।

19 ডিসেম্বর, 2023-এ, হাইকোর্ট দুটি ফেডারেল তদন্তকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিল যে  Adani Group এবং  Essar Group  সহ ভারতের বিভিন্ন বিদ্যুৎ-উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির দ্বারা অতিরিক্ত চালানের অভিযোগগুলি সাবধানে এবং অবিলম্বে তদন্ত করার জন্য, বাস্তব পরিস্থিতির পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়ন নিশ্চিত করে। এবং দোষী কোম্পানির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ।

সম্প্রতি, দিল্লি হাইকোর্ট আদানি গ্রুপের সাথে যুক্ত বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির overbilling অভিযোগের তদন্ত সম্পর্কিত রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর (DRI) এবং সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (CBI) এর আগের নির্দেশ স্থগিত করে একটি আদেশ জারি করেছে। জনস্বার্থ মামলা (PIL) এবং অন্যান্য বনাম ভারত সরকার এবং অন্যান্যদের মোকাবিলা করার সময় এই আদেশ জারি করা হয়েছিল।

source-internet

19 ডিসেম্বর, 2023-এ আদালতের সিদ্ধান্তের পরে দায়ের করা একটি পিটিশনের পরে, ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইট এবং নীনা বনসাল কৃষ্ণ 5 জানুয়ারী একটি আদেশ দেন।সেই রায়ে, হাইকোর্ট সিবিআই এবং ডিআরআইকে Adani Group, Essar Group এবং অন্যান্যদের সাথে যুক্ত বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির ওভারবিলিংয়ের অভিযোগগুলি সাবধানে এবং অবিলম্বে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়।

activist Harsh Mander এবং বেসরকারী সংস্থা সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন অ্যান্ড কমন কজ দ্বারা দায়ের করা পিআইএলগুলিকে সম্বোধন করার সময় এই নির্দেশগুলি জারি করা হয়েছিল।অভিযোগগুলি তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির অধীনে একটি বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠনের অনুরোধ জানিয়ে 2017 সালে আবেদনগুলি দায়ের করা হয়েছিল।

source-internet

পরে, Adani Power সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন দাখিল করে, আদালতের দৃষ্টিতে  আদেশগুলি এনেছিল, যেখানে আদানি পাওয়ার মহারাষ্ট্র লিমিটেড সম্পর্কিত কাস্টমস এক্সাইজ এবং সার্ভিস ট্যাক্স আপিল ট্রাইব্যুনালের খারিজ করার বিরুদ্ধে আপিল 27 মার্চ, 2023 তারিখে খারিজ করা হয়েছিল।

এটি বলা হয়েছিল যে এই আদেশের বিরুদ্ধে একটি পর্যালোচনা পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে মুলতুবি রয়েছে, তাই আদানি পাওয়ার সম্পর্কিত নির্দেশগুলি স্থগিত করা হয়েছিল।

“আদানি পাওয়ার মহারাষ্ট্র লিমিটেড এবং আদানি পাওয়ার রাজস্থান লিমিটেড (বর্তমানে Adani Power Ltd) কর্তৃক এই আদালত কর্তৃক গৃহীত 19.12.2023 তারিখের আদেশের 52 অনুচ্ছেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা পর্যালোচনা পিটিশন স্থগিত রাখা হয়েছে৷ পর্যালোচনা পিটিশনে বলা হয়েছে, ‘আদালত আদেশ দিয়েছেন।’

সিনিয়র আইনজীবী রাজীব নায়ার এবং বিক্রম নানকানি, সহ আইনজীবী মহেশ আগরওয়াল, ঋষি আগরওয়াল, দেবিকা মোহন, অর্ষিত আনন্দ, অঙ্কিত বান্টি, শররাম নিরঞ্জন, অভয় অগ্নিহোত্রী, তারিণী খুরানা, বিক্রম চৌধুরী, এবং প্রভাব বহুগুনা Adani Power পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

জনস্বার্থ মামলা কেন্দ্রের প্রতিনিধি, কমন কজ, এবং হর্ষ মান্ডারের প্রতিনিধি ছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ, নেহা রাঠি, কাজল গিরি, সারিম নাভেদ, সৌরভ সাগর এবং হর্ষ কুমার।

ডিআরআই-এর পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সিনিয়র স্থায়ী কাউন্সেল আদিত্য সিংলা এবং চারু শর্মা।

সিবিআইয়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর নিখিল গোয়েল এবং অ্যাডভোকেট সিদ্ধি গুপ্তা।

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবি প্রকাশ এবং আলি খান।

Exit mobile version